ভালো কাজের আশায় দালালের খপ্পরে পড়ে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ ভাবে ভারতে পাড়ী জমানো ৩৭ জন বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করলো ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বয়স সিমা ঃ
এদের সকলের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, সোমবার(২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টার দিকে তাদেরকে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
ঠিকানা ও নাম ঃ
ফিরে আসা এ সকল কিশোর-কিশোরীরা হলো
কুমিল্লার সাহান হাওলাদার, খুলনার আনন্দ মণ্ডল, মুস্তাফিজুর রহমান, শিমুল শেখ, আবুল হাসান ও মোস্তফা গাজী, যশোরের আয়শা শেখ, জেসমিন বিবি, রুহুল হোসেন, রাকিব শেখ, শাকিল শেখ ও শাকিব হাসান, গোপালগঞ্জের জোবায়ের সরদার, বাগেরহাটের লাবনি আক্তার, রহিমা খান, রাকিব, শাহিল ফারাজি, আবু সালে শেখ, শহিদুল, রাকিব হাওলাদার, মুন্সিগঞ্জের আরিন বাইদা, সাতক্ষীরার মাজেদা খাতুন, সুশান্ত মন্ডল, হালিমা খাতুন, ঠাকুরগাঁওয়ের নিত্যনন্দ রায়, রাজবাড়ির প্রিয় বালা, সুনামগঞ্জের আমেনা খাতুন, পিরোজপুরের মুক্তা আক্তার, নড়াইলের নিশা আক্তার, আবু বক্কর, বিদি খাতুন, রাজশাহীর রোমী খাতুন, ফরিদপুরের নারগিস খাতুন, বরিশালের জুয়েল সরদার ও কুড়িগ্রামের শাহজালাল।
মতামতঃ
এ সকল বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরীদের গ্রহণ করতে আসা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের প্রোগ্রাম কর্মকর্তা মুহিত হোসেন জানান, সংসারে অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় ভালো কাজের কথা বলে এসব কিশোর-কিশোরীকে ভারতে পাচার করে দালালরা। পরে তাদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হয়। ভারতীয় পুলিশ পাচারকারীদের কাছ থেকে তাদের উদ্ধার করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে তাদের আশ্রয় হয় ভারতীয় এনজিও সংস্থার শেল্টার হোমে। পরে,ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে এ সকল কিশোর-কিশোরীদেরকে দেশে ফেরৎ আনা হয়।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, সীমান্ত পথে বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচার হওয়া ৩৭ জন এ সকল কিশোর-কিশোরী ভারত সরকারের দেয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ দেশে ফিরে এসেছে।
ইমিগেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেনাপোল পোর্ট থানায় তাদেরকে সোপর্দ করা হয়। তাদেরকে নিজ নিজ বাড়ীর ঠিকানায় পৌছে দেওয়ার জন্য তিনটি বেসরকারী এনজিও সংস্থা তাদেরকে গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান।
0 Comments