Header Ads Widget

শার্শার কাশিয়াডাঙ্গার ইস্রাফিল হত্যার আসামী গ্রেফতার-২ হত্যাকাজে ব্যবহৃত কোদাল, ঘুমের ঔষধ জব্দ।



বেনাপোল ২৪ নিউজঃ

ইং ২৭ আগষ্ট ২০২১ তারিখে শার্শা থানাধীন কাশিয়াডাঙ্গা সাকিনস্থ বজলুর রহমানের ছেলে আকিজ বিড়ি শ্রমিক ইস্রাফিল নিখোঁজ হয়। ইস্রাফিলকে খোঁজে না পেয়ে স্ত্রী রোজিনা বেগম ইং ২৯ আগষ্ট তারিখে শার্শা থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।

জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জেয়ারদার, বিপিএম(বার), পিপিএম এঁর নির্দেশে জিডির তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা শাখা।


ডিবির অফিসার ইনচার্জ জনাব রুপন কুমার সরকার, পিপিএম এঁর তত্ত্বাবধানে জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম ইং ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে কাশিয়াডাঙ্গা সাকিনে অভিযান পরিচালনা করে সন্ধিগ্ধ নুর আলম, মর্জিনা ও মোশারফ হোসেনদের ধৃত করে কাশিয়াডাঙ্গা মোড়লবাড়ী বড় কবস্থান থেকে ইস্রাফিলের পুতে রাখা মৃতদেহ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।

এই সংক্রান্তে ভিকটিমের স্ত্রী রোজিনা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে শার্শা থানার মামলা নং- ০২, তাং- ০১/০৯/২০২১, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।


মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ইং- ১৩/১০/২০২১ তারিখ বিকাল ১৫:৩০ ঘটিকায় আশুলিয়া থানাধীন নয়ারহাট ট্রাক টার্মিনালে অভিযান পরিচালনা করে হত্যায় জড়িত অন্যতম আসামী মেহেদী হাসান (২৯) কে ধৃত করে তার স্বীকারোক্তি মতে অদ্য ভোর ০৪:২০ ঘটিকায় কাশিয়াডাঙ্গা সাকিনে অভিযান করে তদন্তে প্রাপ্ত অপর আসামী জনি (২১) কে ধৃত করা হয়।

তাদের স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকাজে ব্যবহৃত ১ টি কোদাল, ঘুমের ঔষধ জব্দ করা হয়।


গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ঠিকানাঃ 

(১) মোঃ মেহেদী হাসান (২৯), পিতা- মৃত শাহজাহান মীর,  রাড়ীপুকুর, 

(২) জনি (২১), পিতা- আনিছুর রহমান,কাশিয়াডাঙ্গা,


উদ্ধারকৃত আলামতঃ

(১) ০১ টি কোদাল

(২) এক পাতা ঘুমের ঔষধ। 

(৩) ক্লেমন পানীয়ের খালী বোতল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হত্যা পরবর্তী ভিকটিমের পরিহিত লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা ও সেন্ডেল এবং মোবাইল ফোন আসামী নুর আলমের বাড়ীতে চুলায় পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলে আসামীরা। পূর্ববর্তী উদঘাটিত জায়গা জমি, পরকীয়া সংক্রান্ত ঘটনা ছাড়াও আসামী নুর আলম, মেহেদী, আজিজ ও জনি কর্তৃক একই এলাকার ব্যাংক কর্মচারী রুহুল কুদ্দুছ এর বাড়িতে চুরির ঘটনা ভিকটিম ইস্রাফিল জানতে পারায় ইস্রাফিলকে হত্যার পরিকল্পনা করে নুর আলম, আজিজ মোশারফ, জনি ও মেহেদী এবং মর্জিনা বলে জানা যায়।

"বাংলাদেশ পুলিশের শপথ-দেশের মানুষকে রাখবো নিরাপদ,

সত্য উদঘাটনে বদ্ধ পরিকর, যশোর জেলা পুলিশ ”।

ধন্যবাদান্তে-

পুলিশ সুপার, যশোর 


Post a Comment

0 Comments